আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার নওদাবস ইউনিয়নের কয়েক শত বছরের পুরনো শালবনটি হতে পারে সম্ভাবনাময় এক দর্শনীয় পর্যটন কেন্দ্র।
প্রতিদিন শালবনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছে শত শত ভ্রমণ পিপাসু পর্যটক।
লালমনিরহাট জেলা শহর থেকে প্রায় ৪৫কিলোমিটার দূরে শালবনটির অবস্থান। সড়ক পথে খুব সহজে সেখানে পৌঁছে যাওয়া যায়। পাকা রাস্তার ধারে কয়েক শত বছরের পুরনো শালবনটির অবস্থান। কাগজে-কলমে শালবনের জমির পরিমাণ প্রায় ৮২একর। এ বনের পাশে ব্যক্তিমালিকানাধীন দু’টি জোত রয়েছে। বন বিভাগের বিট কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে শালবনটি রয়েছে।
প্রাকৃতিক ভাবে বেড়ে ওঠা শালবনটির সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে সেখানে নানা বয়সের মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে যায়। শীত মৌসুমে এ সংখ্যা বেশি। শহরের কোলাহলে হাঁপিয়ে ওঠা মানুষ গ্রামীণ পরিবেশে একটু প্রাকৃতিক সানিধ্য পেতে সেখানে ছুটে যায়।
শালবনটিতে পুরনো শালগাছ, সৃজন করা বেতবনে বনটিয়া ও নানা জাতের পাখির কিচিরমিচির শব্দ মানুষকে মুগ্ধ করে। এছাড়াও বনে রয়েছে নানা প্রজাতির পাখি। বন্যপ্রাণীর মধ্যে রয়েছে শিয়াল, বনবিড়াল, বেজি, গুইসাপ ও সাপ। শীত মৌসুমে বনে নানা প্রজাতির অতিথি পাখির সমাগম ঘটে। শালবনটিতে সারা বছর বেত, ফুটকিসহ নানা জাতের বনফুল ফোটে। এ বনফুলগুলো বনটির সৌন্দর্যকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
বনটি সম্পর্কে তেমন প্রচার নেই। তাই স্থানীয়রা ও দূরের কয়েক গ্রামের লোকজন সেখানে পিকনিক করতে আসে।
সেখানে পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সামান্য সুযোগ সুবিধা গড়ে তুললে হাতীবান্ধার শালবনটি হতে পারে একটি পর্যটন কেন্দ্র ও পিকনিক স্পট। এ শালবন ঘিরে সৃষ্টি হতে পারে কয়েক শত বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ।
তাই এলাকাবাসীর প্রত্যাশা, শালবনটিকে ঘিরে এখানে একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠবে। এখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠলে এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সারাদেশে এমনকি বিদেশেও শালবনটির মাধ্যমে লালমনিরহাটের পরিচিতি লাভ করবে। বনটির চারপাশে প্রাচীর নির্মাণ, রেস্ট হাউজ নির্মাণ ও বনে নানা প্রজাতির প্রাণী ছেড়ে দিয়ে সেখানে গড়ে তোলা সম্ভব প্রাণীর অভয় অরণ্য। তাহলে সেখানে গ্রামীণ প্রাকৃতিক পরিবেশে পর্যটন শিল্প গড়ে উঠবে।
স্থানীয় যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে ও হাতীবান্ধা উপজেলার রাস্তাঘাট ব্যবসা বাণিজ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতির লক্ষ্যে শালবনকে দ্রুত পর্যটন হিসেবে ঘোষণা দিবে সরকার। এই প্রত্যাশা করেন স্থানীয়সহ লালমনিরহাটবাসী।